মেজর জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক সংস্কার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা

Image
মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি ১৯৭৭ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার ও পরিবর্তন এনেছিলেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। রাজনৈতিক সংস্কার: ১. বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : - জিয়াউর রহমানের শাসনামলের প্রথম দিকে বাংলাদেশ একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসে। - তিনি ১৯৭৮ সালে রাজনৈতিক দলসমূহের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেন। ২. সাংবিধানিক পরিবর্তন : - তার শাসনামলে ১৯৭৯ সালে একটি নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হয়। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করে। - জিয়া সংবিধানে বেশ কিছু সংশোধন আনেন, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে চেষ্টা করা হয়। ৩. রাজনৈতিক সংগঠন : - তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের অন্যতম

০১. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সততার একটি উদাহরণ

 

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের  সততা নিয়ে অনেকেই বিভিন্নভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তার সততার উদাহরণ হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো তিনি যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন তিনি নিজ সন্তানদেরকে সরকারি সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত রাখতেন।

একটি প্রখ্যাত উদাহরণ হলো তার ছেলে তারেক রহমানকে বিদেশে শিক্ষার জন্য সরকারি বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল, কিন্তু জিয়াউর রহমান তা ফিরিয়ে দেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সরকারি সম্পদ সাধারণ মানুষের কল্যাণে ব্যয় হওয়া উচিত এবং তার পরিবারের কেউ তা গ্রহণ করলে তা সঠিক হবে না। এই ঘটনা তার সততার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।


Comments

Popular posts from this blog

জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনামলে অনেকগুলো অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ছেলেবেলায় কেমন ছিলেন